বন্যা: কুড়িগ্রামে ৩৪১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ
আপলোড সময় :
০৮-০৭-২০২৪ ১০:১৮:৫৮ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় :
০৮-০৭-২০২৪ ১০:১৮:৫৮ পূর্বাহ্ন
সংগৃহীত
কুড়িগ্রামে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি। বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়ায় জেলার ৩৪১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
ব্রহ্মপুত্রের পানি সামান্য হ্রাস পেয়ে চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ধরলার পানি তালুক শিমুলবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার ও দুধকুমারের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেড়েছে তিস্তার পানিও।
এদিকে, বন্যার পানি ওঠায় জেলার ৯ উপজেলায় ৩৪১টি প্রাথমিক, মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদরাসায় পাঠদান সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকায় জেলার নদ-নদীর অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে ৭ দিন ধরে বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ। অনেকেই ঘর-বাড়ি ছেড়ে গবাদি পশু নিয়ে উঁচু সড়ক ও বাঁধে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শুকনো খাবার সংকটে পড়েছেন চরাঞ্চলের বন্যাকবলিতরা। পাশাপাশি গবাদি পশুর খাদ্য সংকট নিয়েও বিপাকে পড়েছেন তারা। তবে বানভাসি মানুষের মাঝে সরকারিভাবে কিছু ত্রাণ সহয়তা লক্ষ্য করা গেলেও বেসরকারিভাবে তেমন ত্রাণ সহয়তা দেখা যায়নি।
কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ার চরের জহুরুল হক বলেন, গত ৫-৬ দিন ধরে আমার চরের সব বাড়িতে পানি। গরু ছাগল হাস মুরগী নিয়ে পাশের উঁচু একটি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছি আমরা। আমার এখানকার সবারে খুব কষ্ট।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সামছুল আলম জানান, বন্যার পানি ওঠার কারণে ১২১টি মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদরাসায় পাঠদান সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে। বন্যাকবলিত নয় এমন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন জানান, ৯ উপজেলায় বন্যায় প্লাবিত বিদ্যালয়ের সংখ্যা ২৫৩টি। এর মধ্যে পাঠদান বন্ধ রয়েছে ২২০টির।
জেলা ত্রাণ ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হাই সরকার জানান, বন্যা মোকাবেলায় ৩শ’ ১৭ মেট্রিক টন চাল, ২১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ও ১৯ হাজার ৩০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Monir Hossain
কমেন্ট বক্স